Today Kolkata:- হাওড়ার বাঁকড়া নয়াবাজ এলাকা থেকে গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশের বাসিন্দা বিষয়ে বড়ো খুলাশা করলো হাওড়া সিটি পুলিশ। আজকে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) দাবি করেন গত ২৩ শে জুন বাঁকড়া নয়াবাজ এলাকাতে দুজন বাংলাদেশী আশ্রয় নিয়েছে। এরপর তাদেরকে বাঁকড়া থানাতে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জেরার মুখে তারা দুজনেই স্বীকার করে তারা বাংলাদেশী। তারা ত্রিপুরা হয়ে এই রাজ্যে ঢুকে ট্রেনে চেপে হাওড়ায় আসে। এই কাজে তাদেরকে শেখ রিপন নামে অপর এক বাংলাদেশী সাহায্য করে। এই ঘটনাতে শেখ রিপন মূল পান্ডা বলেই দাবি করেন তিনি। এই ধৃত দুজনকে বেশি টাকার কাজের প্রলোভন দেখিয়ে এখানে আনা হয়। এই শেখ রিপন ই ধৃতদের আঁধার ও প্যান কার্ড করে দিতে সাহায্য করেছিল। তাদের জন্য পাসপোর্টের ব্যবস্থার চেষ্টাও করা হয়।
এতে ভারতীয় কয়েকজন ভারতীয় পাসপোর্ট এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে তারা। এখন এই এজেন্টদের সন্ধান চালাচ্ছে তদন্তকারীরা বলেই তিনি দাবি করেন। তিনি আরও জানান এই চক্রের এখনও অব্দি শেখ রিপন, শেখ মুনির ও মহম্মদ সুমনকে গ্রেফতার করেছে। এছাড়াও দুজন ভারতীয়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ যদিও তদন্তের স্বার্থে ভারতীয়দের নাম জানাতে চাইছেন না তারা। নকল ভারতীয় নাগরিকত্ব তৈরি করে উচ্চ আয়ের কাজের জন্যই তারা এই দেশে এসেছে এতটাই উঠে এসেছে তদন্তে। যদিও তিনি দাবি করেন এছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্য এখনও অব্দি তদন্তে উঠে আসে নি। যদিও তদন্ত এখনও চলছে বলেই দাবি করেন তিনি। তাই তারা আদালতে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আর্জি জানিয়েছিলেন।
নকল নাগরিকত্বের প্রমাণ পত্র বানিয়ে উচ্চ আয়ের উদেশ্যেই এই দেশে ঢোকে দুই বাংলাদেশী।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা শহরের নয়াগঞ্জে তৎকালীন বর্ধমান রাজার আমলে বহু মন্দির স্থাপিত হয়।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি হাওড়ার ডোমজুড়ের বাঁকড়া নয়াবাজ এলাকা থেকে দু’জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করে হাওড়া সিটি পুলিশ। ধৃতদের নাম শেখ সুমন (২৭) এবং মোহাম্মদ মনির(৩০) বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে জাল আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও পাসপোর্ট। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে হাওড়া সিটি পুলিশের একটি বিশেষ দল বাঁকড়া নয়াবাজ এলাকা থেকে এই দুজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।