নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার আবদুল খালেক । এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই মালদহ থেকে গ্রেফতার করল আবদুল খালেক নামে এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে। স্কুলের সাধারণ শিক্ষা কর্মী ছিল সে। চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলত। তাঁর বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে সিবিআই।
কলকাতাতেও টাকা পাঠানো হত বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। মালদহ শহরের সানি পার্ক থেকে গ্রেফতার আরও এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। তিনি মিল্কি হাইস্কুলের করণিক পদে কর্মরত ছিলেন। কয়েক বছর আগে অবসর নেন। পাশাপাশি মিল্কি এলাকায় বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের কর্ণধারও ছিলেন তিনি । নাম আবদুল খালেক। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। অনেকদিন ধরেই সিবিআইয়ের নজরে ছিলেন তিনি। তারপরেই সিবিআই তাঁর বাড়িতে হানা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে। স্কুলের অশিক্ষক কর্মী হলেও তাঁর বিপুল সম্পত্তি দেখে হতবাক তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন – ফের বিজেপিতে ভাঙন পূর্ব মেদিনীপুরে
মালদহের একাধিক জায়গায় তাঁর বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। রয়েেছে একাধিক স্কুলও। অবসর নেওয়ার পরেও তাঁর সম্পত্তির কোনও কমতি ছিল না। ক্রমেই তা বেড়েই চলেছিল। সিবিআই সূত্রে জানা যায় চাকরি দেওয়ার নাম করে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছিলেন তিনি। মালদহে প্রাক্তন মন্ত্রী এবং তৃণমূলের একাধিক বড় নেতাদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। সিবিআই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এজেন্ট হিসাবে গ্রেপ্তার করেছে আব্দুল খালেককে। কলকাতাতেও তাঁর টাকা যেত বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। তাঁকে জেরা করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
দক্ষিণ মালদা বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ি জানান, অভিযুক্ত আব্দুল খালেক সাধারণ একটি স্কুলের সাধারণ ক্রনিক হয়ে তৃণমূলের দৌলতে বহু মানুষকে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছেন। কিছু চাকরি হয়েছে এবং কিছু চাকরি হয়নি। আর সেই টাকা দিয়েই তাঁর এত বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি। প্রশাসন সব কিছু জেনেও চুপচাপ ছিল। আমরা অভিযুক্তের শাস্তির দাবি জানাই। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র শুভময় বসু দাবি করেছেন আব্দুল খালেক কোনদিনও তৃণমূল করতেন না। তিনি আরও জানান, কেউ কোনো অপরাধ করলেই নাম জড়াচ্ছে তৃণমূলের। আমরা আব্দুল খালেক কে চিনি না। দলের কোন সভা সমিতি যে তিনি ছিলেন না ।