More
    Homeখবরপ্রয়াত ফ্রান্সের কিংবদন্তি বিশ্বকাপার

    প্রয়াত ফ্রান্সের কিংবদন্তি বিশ্বকাপার

    Today Kolkata:  প্রয়াত ফ্রান্সের কিংবদন্তি বিশ্বকাপার । ৮৯ বছর বয়সে প্রয়াত হন তিনি। ফন্টেইনের জন্ম ১৯৩৩ সালে মরক্কোর মারাকেশে। তাঁর বাবা ছিলেন ফরাসি, মা স্প্যানিশ। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই ফুটবলের সফর শুরু। সেনাবাহিনীতে ছিলেন, তাঁর সঙ্গেই চালিয়ে গিয়েছেন ফুটবল। মাত্র ২৮ বছর বয়সে চোটের কারণে ফুটবল থেকে অবসর নিতে হয়। ফ্রান্সের হয়ে তিনি ২১টি ম্যাচ খেলেছেন, গোল করেছেন ৩০টি।

     

    চোট প্রতিবন্ধকতা হয়ে না দাঁড়ালে আরও ৫-৬ বছর তিনি খেলতে পারতেন বলে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন ফন্টেইন। ১৯৬৭ সালে ফ্রান্সের কোচ হয়েছিলেন। তবে তাঁর প্রশিক্ষণাধীন ফ্রান্স দুটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচে পরাস্ত হয়েছিল। পরে মরক্কোর কোচ হন। তাঁর প্রয়াণে শোকাহত বিশ্ব ফুটবল। জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসা বিশ্বকাপে সর্বাধিক ১৬টি গোল করেছেন। ব্রাজিলের রোনাল্ডো ১৫টি ও জার্মানির গার্ড মুলার ১৪টি গোল করেছেন। বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বাধিক গোলদাতাদের তালিকায় মুলারের পরেই রয়েছেন ফন্টেইন।

     

    তাঁর ১৩টি গোলের কীর্তি গত বিশ্বকাপে স্পর্শ করেন মেসি। ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপে মুলার ১০টি ও ১৯৫৪ বিশ্বকাপে হাঙ্গেরির সান্ডোর কোসিস ১১টি গোল করেছিলেন। ফলে ফন্টেইনকে ধরলে মাত্র তিনজনেরই কোনও একটি বিশ্বকাপে গোলের সংখ্যা দুই অঙ্কে পৌঁছেছে। রেমন্ড কোপা প্রয়াত হয়েছিলেন ২০১৭ সালে। তাঁকে বিগ ব্রাদার হিসেবে ডাকতেন ফন্টেইন। কোপার সঙ্গে তাঁর জুটি ফ্রান্সের ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম সেরা।

     

    ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে মাত্র ৬টি ম্যাচে ১৩টি গোল করেছিলেন তিনি। একটি বিশ্বকাপে এতগুলি গোল করার নজির আর কারও নেই। কাতারে লিওনেল মেসি বিশ্বকাপের আসরে ত্রয়োদশ গোলটি করেছেন, তবে ১৩টি গোল করতে তাঁর লেগেছে ৫টি বিশ্বকাপ। ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপ হয়েছিল সুইডেনে। ১৭ বছরের পেলে সেবার ব্রাজিলকে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। সেবার সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে ৫-২ গোলে হারিয়েছিল ব্রাজিল, হ্যাটট্রিক করেছিলেন পেলে। ফলে ফ্রান্সকে খেলতে হয়েছিল তৃতীয় স্থান নির্ণায়ক ম্যাচ।

    আরও পড়ুন – স্ট্যান্ড রোডে একটি পরিত্যাক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার নরকঙ্কাল, ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য

    পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ফন্টেইন চারটি গোল করেছিলেন। সেই সঙ্গে সেবারের বিশ্বকাপে সব কটি ম্যাচেই গোল করার নজির গড়েন। মজার কথা হলো সেই বিশ্বকাপে দলে রাখার পরিকল্পনা ছিল না ফ্রান্সের। রজার পিয়ান্তোনি, রেমন্ড কোপা দলে ছিলেন। তবে থাডি সিসোস্কি ও রেনে ব্লিয়ার্ডের চোটের কারণে তাঁর সামনে বিশ্বকাপের দরজা খুলে যায়।

     

    সুইডেনের উদ্দেশ্য রওনা হওয়ার আগে বিমানবন্দরে তাঁকে ফ্রান্সের তৎকালীন কোচ অ্যালবার্ট বাতেউ ও সাপোর্ট স্টাফ পল নিকোলাসের কাছে জানতে পারেন বিশ্বকাপে তাঁকে সেন্টার ফরওয়ার্ড পজিশনে খেলানো হবে। এই দুজনই প্রথমে ফন্টেইনকে দলে রাখতে চাননি। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে নিতে বাধ্য হন। ফ্রান্সের কিংবদন্তি

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments