Today Kolkata:- গত দু-তিনদিন ধরে মেঘলা আবহাওয়ার পর রবিবার সন্ধ্যে থেকে রাতভর জেলার বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়। সোমবারও বৃষ্টি নামে। চৈত্রের প্রারম্ভে এই অকালবৃষ্টির ফল মালদহের আমচাষিরা খুবই খুশি। প্রায় প্রতিবছরই আমের মরশুমের শুরুতে আমগাছে স্প্রে করে জল দিতে হয় চাষিদের। এসময় পর্যাপ্ত জল না পেলে গুঁটি অবস্থায় আম ঝরে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।
মালদহ জেলার উদ্যান পালন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রায় ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। জেলার প্রায় ৯৫ শতাংশ আম গাছে মুকুল এসেছে। ইতিমধ্যেই মুকুল থেকে বেশ কিছু গাছে আমের গুঁটিও দেখা গেছে। এই অবস্থায় বৃষ্টির জলে আমের গুঁটি বা বোঁটা আরও শক্ত হবে। পরবর্তীকালে ঝড় বা কালবৈশাখী হলেও আমের গুটি পড়ে যাওয়া সম্ভাবনা কম থাকবে। এর ফলে আমের রেকর্ড ফলনের সম্ভাবনা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।
মালদহের কোতোয়ালির এক আম চাষী শংকর চৌধুরী জানান,বৃষ্টি হওয়ার ফলে আম গাছে জল স্প্রে করার প্রয়োজন হবে না। এইসময়় প্রচন্ড রোদ থাকলে বোঁটা শুকিয়ে আম ঝরে যায়। বৃষ্টি আর মেঘলা আবহাওয়াতে সেই সম্ভাবনাও থাকছে না। ফলে রেকর্ড সংখ্যক আম উত্পাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত,মালদহ জেলায় গত কয়েক বছর ধরে গড়ে আড়াই থেকে তিন লক্ষ মেট্রিক টন আম উত্পাদন হয়। এবছর তা ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন আম চাষী থেকে আম ব্যবসায়ীরা।
মালদা ম্যাঙ্গো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা জানান, রাতভর মালদা জেলা জুড়ে বৃষ্টি হয়েছে। এমনিতেই এই সময় আমবাগান গুলিতে জলের স্প্রে করতে হয়। এমন সময় বৃষ্টি হওয়ায় আমের পক্ষে অত্যান্ত ভালো। আমের মুকুল গুটিতে পরিণত হতে শুরু করেছে। তবে দুই একদিন মেঘলা আকাশ থাকলে আমের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতি। এবছর ব্যাপক হারে আমের মুকুল এসেছে। তার ওপরে এই বৃষ্টির জেরে আমের ফলন অন্যান্য বারের তুলনায় আরো ভালো হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।