More
    Homeসিনে দুনিয়াভাষার নামে একটা দেশের নাম! আমাদের কাছে এ কী কম গর্বের কথা:...

    ভাষার নামে একটা দেশের নাম! আমাদের কাছে এ কী কম গর্বের কথা: মিথিলা

    ‘বাংলা ভাষা উচ্চারিত হলে…. একুশের প্রথম প্রভাতফেরি অলৌকিক ভোর!’ রফিয়াত রশিদ মিথিলার কাছে ‘অমর একুশে’ মানে এই অনুভূতি। মিথিলা বাংলা তাঁর অস্তিত্ত্বে। তাঁর গর্ব, বাংলাদেশের জন্ম বাংলা ভাষার নামে… লিখলেন আজকাল ডট ইনের জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি আমার কাছে অনেকটা। আমার ভাষা দিবস। বাংলা ভাষা দিবস। এই ভাষার জন্য বাংলাদেশের ভাষা শহিদেরা জীবন দিয়েছেন। এত থেকে বড়, মহান আত্মত্যাগ আর কী হতে পারে? তাই এই দিনের গুরুত্ব আমার কাছে সব চাইতে বেশি। কারণ, বাংলা শুধু আমার বাষা নয়। বাংলা আমার অস্তিত্ত্ব। আমার পরিচয়। বাংলা আমার পুরো সত্তাজুড়ে আছে। ২১ ফেব্রুয়ারি মনে করায়, এই দিন একটি ভাষার নামে একটা দেশের নামকরণ হয়েছে, বাংলাদেশ।

     

    আমি সেই দেশের মেয়ে। তাই আমার জাতিগত পরিচয়, আমার ওঠাবসা, কথা, আত্মপরিচয়— সব বাংলাকে ঘিরে। মিথিলা এই দিনে বারেবারে মনে পড়ে সেই সব ভাষা শহিদদের যাঁদের রক্তে রেঙে বাংলা ভাষার অভিষেক ঘটেছিল। এদিন আরও একবার তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতায় মাথা নুইয়ে আসে। একুশে ফেব্রুয়ারি তাই আমার অনুভূতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। আজও এই দিনে যখন ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ চোখ ভিজে ওঠে। আনন্দে, বেদনায়। আনন্দ… কারণ, এই দিন একটি ভাষা তাঁর অস্তিত্ত্ব প্রমাণে সক্ষম হয়েছিল। বেদনা… কারণ, এদিন অনেক ভাইকে আমরা হারিয়ে ফেলেছি। যাঁরা মাতৃভাষার জন্য এত করলেন তাঁরা দেখে যেতে পারলেন না তাঁদের জয়।  ভাষা দিবস এলেই ছোটবেলার কথা খুব মনে পড়ে।

    আরও পড়ুন – রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্বের ফায়দা ভারতের

    তখন থেকেই ভাষা দিবস সম্বন্ধে আমাদের পড়ানো হত। পড়তে পড়তে, জানতে জানতে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠত। শুধু ঢাকায় নয়, প্রতিটি জেলায় ভাষা শহিদদের জন্য শহিদ মিনার আছে। ছোট থেকে দেখে এসেছি, প্রতি ২১ ফেব্রুয়ারির ভোরে সেখানে তাঁদের স্মরণ করে ফুলের স্তবক দিয়ে সাজানো হয়। বহু সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তো আসেই। লক্ষ লক্ষ নানা বয়সের বাংলাদেশি এ দিন খালি পায়ে হেঁটে আসেন মিনারে ফুল দিতে। ছোট থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে বাবার হাত ধরে সেখানে ফুল দিতে যেতাম। ছোট ছিলাম। ভাল করে দেখতে পেতাম না। বাবা কোলে তুলে নিয়ে দূর থেকে দেখাতেন। আস্তে আস্তে বড় হয়েছি। নিয়মিত ফুল দিতে যেতাম। পরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্রী হলাম। এদিন বাংলাদেশে উৎসব হয়। কারণ, এই দিনটা আমাদের কাছে গর্বের। একটু একটু করে সেই গর্বের সঙ্গে নিজেকে মিশিয়ে নিয়েছি। এই দিন থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংকল্প যেন আরও জোরালো হয়ে এঁটে বসেছিল প্রত্যেক বাংলাদেশির মনে। এই দিন বাংলায় কথা বলার স্বাধীনতা পেয়েছিল দেশের মানুষ। আজও সেই গর্ব নতুন করে যেন ফিরে পাই।

     

    ‘বাংলা ভাষা উচ্চারিত হলে…. একুশের প্রথম প্রভাতফেরি অলৌকিক ভোর!’ রফিয়াত রশিদ মিথিলার কাছে ‘অমর একুশে’ মানে এই অনুভূতি। বাংলা তাঁর অস্তিত্ত্বে। মিথিলা তাঁর গর্ব, বাংলাদেশের জন্ম বাংলা ভাষার নামে… লিখলেন আজকাল ডট ইনের জন্য ২১ ফেব্রুয়ারি আমার কাছে অনেকটা। আমার ভাষা দিবস। বাংলা ভাষা দিবস। এই ভাষার জন্য বাংলাদেশের ভাষা শহিদেরা জীবন দিয়েছেন। এত থেকে বড়, মহান আত্মত্যাগ আর কী হতে পারে? তাই এই দিনের গুরুত্ব আমার কাছে সব চাইতে বেশি। কারণ, বাংলা শুধু আমার বাষা নয়। বাংলা আমার অস্তিত্ত্ব। আমার পরিচয়। বাংলা আমার পুরো সত্তাজুড়ে আছে। ২১ ফেব্রুয়ারি মনে করায়, এই দিন একটি ভাষার নামে একটা দেশের নামকরণ হয়েছে, বাংলাদেশ।  মিথিলা আমি সেই দেশের মেয়ে। তাই আমার জাতিগত পরিচয়, আমার ওঠাবসা, কথা, আত্মপরিচয়— সব বাংলাকে ঘিরে। এই দিনে বারেবারে মনে পড়ে সেই সব ভাষা শহিদদের যাঁদের রক্তে রেঙে বাংলা ভাষার অভিষেক ঘটেছিল। এদিন আরও একবার তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতায় মাথা নুইয়ে আসে। একুশে ফেব্রুয়ারি তাই আমার অনুভূতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। আজও এই দিনে যখন ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ চোখ ভিজে ওঠে। আনন্দে, বেদনায়। আনন্দ… কারণ, এই দিন একটি ভাষা তাঁর অস্তিত্ত্ব প্রমাণে সক্ষম হয়েছিল। বেদনা… কারণ, এদিন অনেক ভাইকে আমরা হারিয়ে ফেলেছি। যাঁরা মাতৃভাষার জন্য এত করলেন তাঁরা দেখে যেতে পারলেন না তাঁদের জয়।  ভাষা দিবস এলেই ছোটবেলার কথা খুব মনে পড়ে।

     

    তখন থেকেই ভাষা দিবস সম্বন্ধে আমাদের পড়ানো হত। পড়তে পড়তে, জানতে জানতে গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠত। শুধু ঢাকায় নয়, প্রতিটি জেলায় ভাষা শহিদদের জন্য শহিদ মিনার আছে। মিথিলা ছোট থেকে দেখে এসেছি, প্রতি ২১ ফেব্রুয়ারির ভোরে সেখানে তাঁদের স্মরণ করে ফুলের স্তবক দিয়ে সাজানো হয়। বহু সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তো আসেই। লক্ষ লক্ষ নানা বয়সের বাংলাদেশি এ দিন খালি পায়ে হেঁটে আসেন মিনারে ফুল দিতে। ছোট থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনারে বাবার হাত ধরে সেখানে ফুল দিতে যেতাম। ছোট ছিলাম। ভাল করে দেখতে পেতাম না। বাবা কোলে তুলে নিয়ে দূর থেকে দেখাতেন। আস্তে আস্তে বড় হয়েছি। নিয়মিত ফুল দিতে যেতাম। পরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্রী হলাম। এদিন বাংলাদেশে উৎসব হয়। কারণ, এই দিনটা আমাদের কাছে গর্বের। একটু একটু করে সেই গর্বের সঙ্গে নিজেকে মিশিয়ে নিয়েছি। এই দিন থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংকল্প যেন আরও জোরালো হয়ে এঁটে বসেছিল প্রত্যেক বাংলাদেশির মনে। এই দিন বাংলায় কথা বলার স্বাধীনতা পেয়েছিল দেশের মানুষ। আজও সেই গর্ব নতুন করে যেন ফিরে পাই।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments