Today Kolkata; রঙ্গীন মাছ চাষে তাক লাগাচ্ছে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের ষাটোর্ধ বয়সী মহিলা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের আকোন্দবাড়ি গ্রামে বাসিন্দা মনোরমা পানী।ষাটোর্ধ বয়সী মহিলা নিজের বাড়ির আঙ্গিনায় বিভিন্ন রঙিন মাছের চাষ করে রীতিমতো চমক লাগিয়েছেন । প্রসঙ্গত মাছ অনেকেই বাড়িতে পোষেন, নেহাত শখের বসেই। মনোরমা পানীও প্রথমে শখের বশে শুরু করলেও পরে এই শখকেই ব্যবসা বানিয়ে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন । জানা গেছে বাড়ির সামনে চৌবাচ্চা ও পুকুরে করছেন বিভিন্ন রঙিন মাছের চাষ।
তবে কেবল চাষই নয় , তিনি মাছ গুলোর প্রজননও করান। বয়স্ক মহিলা এই নিজ হাতে মাছের চাষ করছেন। গোল্ড ফিশ, ডিসকাস, অসকাস, রেড ক্যাপ, রেড আই, মিল্কি, বার্ব প্রভৃতি প্রজাতির রঙীন মাছ চাষ করেন তিনি। নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু জানান, বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁ ও বাড়িতে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজে শৌখিন মানুষ এসব মাছ পালন করেন। এসব মাছের দাম একটু বেশি। তা ছাড়া এ মাছের চাষাবাদে প্রয়োজন নেই অতিরিক্ত সময়ের।
আরও পড়ুন – জমি বিতর্কে এবার মুখ খুললেন নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেন
নির্ধারিত সময়ে খাবার ও একটু যত্ন নিলেই ব্যাপক লাভবান হতে পারেন উদ্যোক্তারা। তাই রঙিন মাছ চাষের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করা সম্ভব বলে দাবি করেন এ মৎস্য আধিকারিক। মহিলা স্বনির্ভর দলদের প্রয়োজনে ই লার্নিং এর মাধ্যমে এই বিষয়ে অনলাইন প্রশিক্ষনের ব্যাবস্থা করছে নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লক মৎস্য বিভাগ।সেই সাথে নন্দীগ্রামের বাসিন্দা এই মহিলার প্রচেষ্টাকেও সাধুবাদ জানান তিনি ।
মনোরমা পানি বলেন, আমার এমন কিছু করা ইচ্ছা ছিল যেখানে অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়। আমি দেখলাম, রঙিন মাছ চাষ আমাকে আনন্দ ও অর্থ দুটোই দিচ্ছে। আমার তেমন কষ্ট হচ্ছে না। তাই বৃহৎ পরিসরে শুরু করার জন্য চেষ্টা করি। এই বিষয়ে মৎস্য দপ্তরের সহযোগীতা পেয়েছি।