More
    Homeখবরশিক্ষক শিক্ষিকার অভাবে ধুঁকছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের তুলট উচ্চ বিদ্যালয়।

    শিক্ষক শিক্ষিকার অভাবে ধুঁকছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের তুলট উচ্চ বিদ্যালয়।

    বালুরঘাট:-  শিক্ষক শিক্ষিকার অভাবে ধুঁকছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের তুলট উচ্চ বিদ্যালয়। এলাকায় বিদ্যালয়ের সুনাম দীর্ঘ দিন থেকেই রয়েছে। কিন্তু আছে স্কুল, আছে পড়ুয়া, আছে স্কুল ভবন, কিন্তু অভাব শুধু শিক্ষকের। তাই স্কুলের সুনাম বজায় রাখাই এখন সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে স্কুল কর্তিপক্ষকে। জানা গেছে তুলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়ানো হয়ে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে অপর্যাপ্ত শিক্ষক, স্থায়ী শিক্ষক না থাকার অভাবে ভুগছে এই স্কুল। অথচ এই স্কুলের ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৬০০ জন। পারমানেন্ট শিক্ষক আছেন মাত্র ২ জন। সাথে রয়েছে ২ জন কম্পিউটর শিক্ষক। জোড়াতালি দিয়ে পঞ্চম শ্রেনী থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত ক্লাস নেওয়ার শিক্ষকের অভাবে ছাত্র ছাত্রীদের পঠন পাঠন লাটে উঠেছে। সব চেয়ে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে আগামী বছর যে সব ছাত্র ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবে তাদের। এমনিতেই কোভীড অতিমারির কারনে বিগত দুই বছর স্কুলের পঠন পাঠন বন্ধ ছিল।

    যাও বা এই অতিমারির কাল কাটিয়ে বিদ্যালয়ের ঘন্টা বাজার শব্দ ছড়িয়ে পড়ল বিদ্যালয় প্রাংগনে। কিন্তু শিক্ষক – শিক্ষিকার অভাবে সে শব্দ ছাপিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের পঠন পাঠনের শব্দ আর শুনতে পাওয়া যাচ্ছে না তুলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিতে। দীর্ঘ দিন ধরে এই সব প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে পঠন পাঠন চালাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষকে। আছে স্কুল, আছে পড়ুয়া, আছে স্কুল ভবন, কিন্তু অভাব শুধু শিক্ষকের যার ফলে, চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে স্কুলের পাঠদান। ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর চিন্তায় স্কুল পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা। অবিলম্বে স্কুলের সব শ্রেনীতে পঠনপাঠন চালুর দাবিতে এলাকার নাগরিকরাও সরব হয়েছে।যদিও বিদ্যালয়ের শিক্ষক কৃষন জোতি সরকার শিক্ষক শিক্ষিকার অভাবে পঠন পাঠন ভীষন ভাবে ব্যাহত হওয়ার বিষয় টি স্বিকার করে বলেন তিনি নিজে সায়েন্স বিভাগের টিচার হয়েও বিদ্যালয়ের অফিসিয়াল কাজ কর্ম করে থাকেন।

    শিক্ষক শিক্ষিকার অভাবে ধুঁকছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের তুলট উচ্চ বিদ্যালয়।

    অনুব্রত মণ্ডলের জলবাতাসা তথ্য এবার সোদপুর সাব ট্রাফিক গার্ডে।

    যে সব শিক্ষক ছিলেন তারা উষষী পোর্টালের মধ্যমে বদলি হয়ে চলে গেলেও সরকারের উচ্চ আধিকারিকদের কাছে সে তথ্য জানা থাকা সত্বেও দীর্ঘ কয়েকমাস শিক্ষক শিক্ষিকার অভাবে বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন ব্যহত হচ্ছে। এর ফলে ভীষন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষায় আগামী বছর বসতে যাওয়া ছাত্র ছাত্রীরা বলে তিনি নিজেই স্বিকার করে নেন। অপরদিকে বিদ্যালয়ের ক্লাস নবম ও দশম শ্রেনীর পড়ুয়ারাও এক কথা জানিয়ে বলেছে অবিলম্বে তাদের স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকা পাঠিয়ে তাদের পথন পাঠন চালু করা হোক। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ এর কর্মাধ্যক্ষ প্রবীর রায় জানান,ওই স্কুলে যাতে অতি শিঘ্রই শিক্ষক নিয়োগ করা হয় তা শিক্ষক পরিদর্শক এর সাথে অই উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ করার ব্যবস্থা করা হবে। বিজেপি প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন জানান,বর্তমানে সারা বাংলায় শিক্ষক নিয়োগ করছেন না রাজ্যসরকার, গোটা বাংলায় একই অবস্থা বাংলার প্রতিটি স্কুলের। যতদিন নিয়োগ প্রকৃয়া রাজ্য সরকার শুরু না করছেন ততদিন এই সমস্যা মিটবে না।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments