সামান্য মন্তব্যের জন্য রাহুল গান্ধীকে বেশি শাস্তি দেওয়া হয়েছে।২বছরের জেলটা একটু বাড়াবাড়ি হয়েছে।দেশের হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতার পাশে দাঁড়িয়ে এমনই মন্তব্য করলেন পিকে অর্থাৎ প্রশান্ত কিশোর।ভোটকুশলী পিকে বলেন, ভোটপ্রচারের উত্তেজনায় এমন অনেক কথাই বলা হয়। সব নেতানেত্রীই বলে থাকেন। বিচারব্যবস্থার উপর আস্থা রেখেই বলছি, এই সামান্য মন্তব্যের জন্য অহেতুক বেশি শাস্তি পেয়ে গিয়েছেন রাহুল গান্ধী।আইন বিশারদ না হলেও আমি যতটুকু বুঝেছি, এটা একটা মানহানির মামলা।
আর এই মামলায় ২ বছরের জেলটা একটু বাড়াবাড়ি।তাদে উচিত ছিল আরেকটু বড় মন নিয়ে ব্যাপারটা ভাবা।বিজেপি এখন কেন্দ্রে ক্ষমতায়। তাই বড় মনের পরিচয় দেওয়ার দায়টাও ওদের। আমি জানি, ওরা এখন বলবে আইন মেনেই সবটা হয়েছে। কিন্তু আমি অটলবিহারী বাজপেয়ী বলতেন,ছোট মন নিয়ে
কখনও বড় কাজ করা যায় না।রাহুল গান্ধীকে কোণঠাসা করতে গিয়ে তাকেই কি হিরো বানিয়ে দিল বিজেপি?
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে রাহুল প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘‘সব চোরেদের পদবি ‘মোদী’ হয় কেন?’’ আইপিএল কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ললিত মোদী, ব্যাঙ্ক-ঋণ মামলায় ‘পলাতক’ নীরব মোদীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তুলনা টেনেছিলেন তিনি। ওই ঘটনায় রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন গুজরাতে বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদী। সেই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হন রাহুল। তার আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে বৃহস্পতিবার তাকে ২ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় গুজরাতের সুরাত জেলা আদালত।
এই রায়ের ওপর ভিত্তি করে ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করা হয়। তার লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হতে না হতেই প্রায় সব বিরোধী দল একসুরে চরম আক্রমণ করেছে বিজেপি তথা মোদী সরকারকে।এবার দেশের অন্যতম রাজনৈতিক পরামর্শ দাতা প্রশান্ত কিশোরও বলেন রাহুল গান্ধীর শাস্তি বেশি হয়ে গিয়েছে।কেন্দ্রের মানবিক হওয়া উচিত ছিল।