Today kolkata:- আদালতের নির্দেশে বাংলার বুকে গরু পাচার কাণ্ডে তদন্তে নাম জড়িয়েছে বীরভূমের দুর্দন্ডপ্রতাপশালী নেতা তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০০ কোটি টাকার নগদ, সোনা ও সম্পত্তির হদিশ। সেই সম্পত্তি কার আর কীভাবে এল তা জানতেই সিবিআই ১০ বার তলব করেছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। কিন্তু তিনি হাজিরা দিয়েছেন মাত্র ১ বার। বর্তমানে অবশ্য আদালতে নির্দেশে তাঁর সিবিআই হেফাজত হয়েছে। সিবিআই আধিকারিকেরা দাবি করেছেন, বর্তমানে অনুব্রত তথা কেষ্টর নিত্যদিনের আয় ৩০ লক্ষ টাকা। বছরে ১০৮ কোটি। এই তথ্য সামনে আসতেই রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে পড়েন খোদ সিবিআই আধিকারিকেরা। একসময় বোলপুরের বাজারে মাছ বিক্রি করে তিনি দিনে ১০০টাকাও আয় করতেন না।
বলিউডের একজন হাই প্রোফাইল নায়কও এখনকার বাজারে এই আয় করেন কিনা সন্দেহ! তবে সিবিআই সূত্রে এটাও জানা গিয়েছে, এই বিপুল পরিমাণ টাকার একটা বড় অংশই ‘দানধ্যানে’ খরচ করতেন কেষ্ট। বাকিটা জমা রাখতেন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং এক বিধায়কের কাছে। গোটা বীরভূম জেলার পাশাপাশি দুই বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলাজুড়ে যে গরুপাচার, কয়লাপাচার,বালিখাদান, পাথরখানের ব্যবসা চলত তাঁর নিয়ন্ত্রক ছিলেন এই কেষ্টই। তার জেরেই দিনপ্রতি তাঁর আয়ের পরিমাণ ৩০ লক্ষ টাকা। পাচার পথ নির্বিঘ্ন রাখতে পুলিশ কর্তাদেরও তা আগাম জানিয়ে রাখা হত। মোট ২৭টি থানা এলাকাজুড়ে ছিল এই সব পাচার পথ। প্রতি ক্ষেত্রেই পুলিশের সঙ্গে ‘মাসিক বন্দোবস্ত’ করে ফেলেছিলেন চোরাচালানে যুক্ত ব্যবসায়ীরা।
Anubrata Mandal প্রতিদিন ৩০ লক্ষ আয় অনুব্রতর! স্তম্ভিত সিবিআই।
Birbhum Zila Police তালিকা তৈরি, এবার গরুপাচারে ‘জড়িত’ পুলিশকর্মীদের ডাক পড়তে পারে!
MORE NEWS – কোথায় কাকে কত টাকা কীভাবে পাঠাতেন?’ অনুব্রতর ব্যবহারে অবাক সিবিআই।
CBI গরু পাচার মামলায় রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডকে। বাড়ি থেকে তুলে এনে তাঁকে গ্রেফতার করার পর আপাতত ২০ আগস্ট পর্যন্ত বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির ঠিকানা সিবিআই হেফাজত। আর সেখানেই একের পর এক সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে অনুব্রতকে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতার সম্পত্তির হিসেব খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তদন্তে তাঁরা জানতে পেরেছেন, ২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বৃদ্ধি পায় অনুব্রতর। CONTINUE READING