Today kolkata :- CBI গরু পাচার মামলায় রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় গ্রেফতার করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডকে। বাড়ি থেকে তুলে এনে তাঁকে গ্রেফতার করার পর আপাতত ২০ আগস্ট পর্যন্ত বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির ঠিকানা সিবিআই হেফাজত। আর সেখানেই একের পর এক সিবিআইয়ের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে অনুব্রতকে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতার সম্পত্তির হিসেব খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। তদন্তে তাঁরা জানতে পেরেছেন, ২০১৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বৃদ্ধি পায় অনুব্রতর। শুধু নিজের নামে নয়, স্ত্রী ও মেয়ের নামে চালকল, জমি সহ কেনা হয়েছে একাধিক সম্পত্তি৷ কী কী ব্যবসা রয়েছে অনুব্রতর? তাঁর নামে কী কী কোম্পানি রয়েছে? তাঁর আয়ের উৎস জানতে চাইছে সিবিআই৷ ঘনিষ্ঠ একাধিক আত্মীয়র নামে সম্পত্তি করেছেন অনুব্রত। এমনকী এক মাসে দু-তিনটি জমিও কিনেছেন বলে জানা গিয়েছে। সেই বিষয়েই অনুব্রতকে জেরা করে চলেছেন সিবিআই অফিসাররা। কিন্তু অবাক করার বিষয় হল, প্রায় প্রতিটি প্রশ্নেই চুপ থাকছেন ডাকাবুকো তৃণমূল এই নেতা।
তদন্তে তিনি কোনও রকম সহযোগিতা করছেন না বলে দাবি সিবিআইয়ের। এদিকে, সিবিআই সূত্রে খবর, অনুব্রত মণ্ডলের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীর থেকে সংগ্রহ করা অডিও ক্লিপস, বয়ান রেকর্ড নিয়ে পরবর্তীকালে আদালতের কাছে পেশ করা হতে পারে। ইতিমধ্যেই সিবিআই অফিসের গেস্ট রুমে শিফট করা হয়েছে তাঁকে। প্রথমে তাঁকে রাখা হয়েছিল সিবিআই অফিসের ডিও সেকশনের কাছে একটি রুমে। পরে সেখান থেকে গেস্ট রুমে শিফট করা হয়। সিবিআই হেফাজতেও অনুব্রতর সঙ্গে রয়েছেন একজন পরিচিত ‘কেয়ার টেকার’। সেই পরিচিত যখন অনুব্রতকে নেবুলাইজার পরাতে যান সেই সময় অনুব্রত জিজ্ঞাসা করেন “গ্রেফতারির পর তার প্রতি দলের মনোভাব কী? সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশির ভাগ সময়ই চুপ করে বসে ছিলেন অনুব্রত। গ্রেফতারির দিন রাতেই একটি ক্যাম্প খাট ,কম্বল দেওয়া হয়েছে অনুব্রতকে।
CBI কোথায় কাকে কত টাকা কীভাবে পাঠাতেন?’ অনুব্রতর ব্যবহারে অবাক সিবিআই।
Kolkata high court অঙ্কিতার ফেরানো বাকি কিস্তির টাকা পেলেন ববিতা।
এরপর থেকেই গরু পাচারে মূল অভিযুক্ত এনামুল হক ও ধৃত অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গেলের দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে জেরা করা হচ্ছে তাঁকে। অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের বাড়িতে তল্লাশিতে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেও জেরা করা হচ্ছে। কিন্তু মুখে কুলুপ এঁটেছেন তিনি। এদিকে জানা গিয়েছে, পাচার হওয়া গরু প্রতি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকার লেনদেন চলত৷ বিএসএফ নিত গরু প্রতি ২০০০ টাকা, কাস্টমস নিত গরু প্রতি ৫০০ টাকা৷ বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমারের আমলে সবচেয়ে বেশি প্রায় ২০ হাজার গরু পাচার হয়েছিল বাংলাদেশে৷ মালদা ও মুর্শিদাবাদ সীমান্ত দিয়ে পাচার করা হত গরু। বীরভূম ছিল সেফ করিডর৷ সিবিআই চার্জশিটে সে কথা উল্লেখ করা হয়েছে৷ আর গরু পাচারের টাকার ভাগ যেত প্রভাবশালীদের কাছে৷ নগদ টাকায় লেনদেন চলত৷