Today Kolkata:- Kuchlibari Milan mela দীর্ঘদিন পর প্রিয়জনকে দেখামাত্র অনেকেই চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না। কেউ আবার আপনজনের সঙ্গে আনন্দে কুশল বিনিময় করলেন! কালীপুজোর পরদিন কোচবিহারের কুচলিবাড়ি সীমান্তে কাঁটাতারের নাগালে মিলন মেলায় এভাবেই ভাঙল আবেগের বাঁধ। সাক্ষী থাকলো সীমান্ত। এই মিলন উৎসব দেখতে ভিড় জমান অন্যরাও। একদিনের এই সাক্ষাৎ শেষে ফের এক বছরের জন্য দূরে থাকা! ৩৬৪ দিনের অপেক্ষা। প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কালীপুজোর পরদিন মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়ি সীমান্তের হেদুরটারি ও বল্টুরটারি এলাকায় দুই দেশের মানুষ আত্মীয়, পরিজনদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান ৷ ভারতের তরফে এই বিষয়টি পরিচালনা করে বিএসএফ৷ দুই দেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হল, বছরে এই একটি মাত্র দিন বিশেষ অনুমতি নিয়ে কিছুক্ষণের জন্য পরভূমে পা রাখাও যায়!
তাই বহু দূর থেকেও মানুষ আসেন এই মিলন উৎসবে সামিল হতে ৷ ধূপগুড়ির এক বাসিন্দা জানান, “আমার বাবা-মা এখনও বাংলাদেশের পাটগ্রামে থাকেন ৷ সেখানে আমার বাপের বাড়ির আরও অনেকে রয়েছেন ৷ কিন্ত পাসপোর্ট করে বাংলাদেশে যেতে পারি না ৷ তাই প্রত্যেক বছর এই দিনটির অপেক্ষায় থাকি। বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এখানে আসি। উৎসবের দিনগুলোয় বেশি করে ওঁদের কথা মনে পড়ে ৷ এভাবে দেখা করতে দেওয়ার জন্য বিএসএফ-কে ধন্যবাদ ৷” এঁদের কথা ভেবেই বিএসএফ একদিনের জন্য মিলন মেলার অনুমতি দেয়। কাঁটাতারের দুই পাড়ের বহু মানুষই একইভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিএসএফ-কে। প্রতিবছরের মতো এবারও এই ব্যবস্থাপনা ঘিরে উৎসবে মেতে ওঠে কুচলিবাড়ি সীমান্ত।
Kuchlibari Milan mela মিলন মেলায় সাক্ষী কাঁটাতার! আবেগে ভাসল কুচলিবাড়ি সীমান্ত।
MORE NEWS – ধরনাস্থলেই চাকরিপ্রার্থীদের হাতে ফোঁটা নিলেন সেলিম, দিলীপ।
একের পর এক উৎসবের মধ্যেও চাকরিপ্রার্থীরা তাঁদের ধরনা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিবাদের ভাষার সঙ্গেই মিলেমিশে যাচ্ছে উৎসবও। তাই উৎসবের দিনগুলো রাস্তাতেই কাটিয়েছেন তাঁরা। ভাইফোঁটাতেও তার অন্যথা হল না। এই অনুষ্ঠান করা হল রাস্তাতেই। চাকরির দাবিতে ৫৯১ দিন ধরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনা অব্যাহত রেখেছেন টেট উত্তীর্ণ-সহ বহু চাকরিপ্রার্থী। কিন্ত কীভাবে হবে ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান? নিজেদের দাবি আদায়ের পাশাপাশি দাদা বা ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় আয়োজন করা হয় ফোঁটার। এদিন মেয়ো রোডের রাস্তাতেই ভাইফোঁটা উদযাপন করলেন চাকরিপ্রার্থীরা। CONTINUE READING