Today Kolkata:- সিজিও কমপ্লেক্সের টানা ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ। তারপরই গ্রেফতার করা হল প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya)। সোমবার গভীর রাতে গ্রেফতার করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক মানিককে। মঙ্গলবারই আদালতে তোলা হবে তাঁকে। সোমবার দুপুরের পর সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত গভীর হলেও সেখান থেকে বেরোননি মানিক। ইডি সূত্রে খবর, রাতভর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্ত জিজ্ঞাসাবাদের সময় মানিক ঠিকভাবে প্রশ্নের উত্তর না দেওয়ায় এবং তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন বলে ইডি সূত্রে অভিযোগ করা হয়েছে৷ এই অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কোন কোন পথে নিয়োগ হয়েছে, কত দূর দুর্নীতির বীজ লুকিয়ে, কারা এই দুর্নীতিতে যুক্ত, কীভাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য মানিকের কাছে জানতে চেয়েছিল ইডি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে যে নথি জমা দিয়েছেন, তাতে একাধিক গরমিল রয়েছে বলে দাবি। মানিকের বিরুদ্ধে ইডির মূল অভিযোগ ছিল, টেটে সাদা খাতা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন অযোগ্যরা। আর সব জেনেই মানিক ভট্টাচার্য তাঁদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন। মানিকের বিরুদ্ধে আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সিঙ্গল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে যান মানিকবাবু। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল রাখে। টেট দুর্নীতি মামলায় যে বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেন রয়েছে, তার যাবতীয় তথ্য মানিকের কাছে রয়েছে বলে দাবি ইডির।
Manik Bhattachariya রাতভর জেরার পর গ্রেফতার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য।
Primary TET বছরে দু’বার নিয়োগ! ‘টেট’ নিয়ে বড়সড় ঘোষণা পর্ষদ সভাপতির।
এমনকী, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে মানিকের সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের যোগসাজশের দাবি করেছে সিবিআই-ও৷ সুপ্রিম কোর্টে সওয়ালের সময় মানিককে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের অন্যতম মূল মাথা হিসেবে অভিযোগ করেন সিবিআই-এর আইনজীবী সূত্রের খবর, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জেরা করে মানিক ভট্টাচার্যের নাম উঠে এসেছে। এই কাণ্ডে এর আগেও একাধিকবার মানিককে তলব করা হয়। নিঃসন্দেহে এই গ্রেফতারি অস্বস্তি বাড়াল শাসকদলের। যদিও এ নিয়ে এখনও শাসকদলের কারও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।