Today Kolkata:- SSC Scam বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে এজলাসে দাঁড়িয়েই পার্থ বলেন, ”কেউ রেহাই পাবে না।” এমন বিস্ফোরণের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ভোল পাল্টে ফেললেন পার্থ। বললেন, ”দলের সঙ্গে ছিলাম, দলের সঙ্গে আছি।” ইতিমধ্যেই এই বিপরীত মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। এসএসসি কাণ্ডে গ্রেফতার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের মেয়াদ শেষে গত বৃহস্পতিবার ফের আদালতে তোলা হয়। একইসঙ্গে তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে তোলা হয় আদালতে। ওইদিন এজলাসে কার্যত বোমা ফাটিয়েছিলেন বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতা। তিনি বলেছিলেন, কেউ রেহাই পাবে না।” অথচ এসএসকেএম শারীরিক পরীক্ষা শেষে বেরোনোর সময়ই সংবাদমাধ্যমের সামনে একেবারেই অন্য সুর শোনা গেল পার্থর গলায়। তৃণমূলের সঙ্গে থাকার বার্তা দেন তিনি। বললেন, ”দলের সঙ্গে ছিলাম, দলের সঙ্গে আছি।” শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারের পর মন্ত্রিত্ব খুইয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
তৃণমূলের সমস্ত দলীয় পদ থেকেও অপসারিত করা হয়েছে তাঁকে। পার্থ প্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বময় নেত্রী বলেছিলেন, দল ও সরকারের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই। পার্থকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে টুইট করেছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। যদিও সেই টুইট পরে মুছেও দিয়েছিলেন তিনি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি পার্থকে দলীয় সমস্ত পদ থেকে অপসারিত করা হয়। সাসপেন্ড করার কথাও ঘোষণা করে। পরে ক্ষোভ প্রকাশ করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় রীতিমত হুঙ্কারের সঙ্গে বলেছিলেন, এই ঘটনায় যাঁরা জড়িত তাঁরা কেউ রেহাই পাবে না। কিন্তু তারপর কী এমন ঘটল যাতে দলের পাশে থাকার বার্তা দিলেন তিনি? আপাতত এই কৌতুহলেই মজে বঙ্গ রাজনীতি।
SSC Scam ৪৮ ঘণ্টাতেই গরম থেকে নরম! পার্থর মন্তব্য নিয়ে তুমুল জল্পনা।
MORE NEWS – অসুস্থতার যুক্তি মানল না আদালাত, ফের সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত।
অসুস্থতার কারণ দর্শানো কার্যত ধাপে টিকল না। অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আর্জি খারিজ। ফের ৪ দিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি। ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত বীরভূমের দাপুটে নেতার ফের ঠিকানা নিজাম প্যালেস। শনিবার সকালে নিজাম প্যালেস থেকে আলিপুর কমান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। সেখান থেকে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে গরু পাচার-কাণ্ডে আসানসোল আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। CONTINUE READING