More
    Homeখবরঅয়েল ট্যাঙ্কার মালিকদের বিক্ষোভের জেরে ব্যাহত মৌরিগ্রামের আই.ও.সি কেন্দ্রের পরিষেবা

    অয়েল ট্যাঙ্কার মালিকদের বিক্ষোভের জেরে ব্যাহত মৌরিগ্রামের আই.ও.সি কেন্দ্রের পরিষেবা

    Today Kolkata:-  এবার অয়েল ট্যাঙ্কার মালিকদের বিক্ষোভের জেরে ব্যাহত হলো হাওড়া মৌরিগ্রামের আই.ও.সি কেন্দ্রের পরিষেবা। হাওড়ার মৌরিগ্রাম আই.ও.সি কেন্দ্র থেকে মূলত দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, মেদনীপুর ও নদীয়ার জেলার বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে তেল সরবরাহ করা হয়। আর এই তেল সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে বিভিন্ন সংস্থার ১৮০টি অয়েল ট্যাঙ্কার। যারা প্রতিদিন মৌরিগ্রাম থেকে তেল নিয়ে পরিষেবা দেন।

     

    একই সঙ্গে বেশ কিছু পেট্রোল পাম্পের মালিকের নিজস্ব অয়েল ট্যাঙ্কার রয়েছে যারা এতদিন শুধুমাত্র নিজেদের পাম্পের তেল নিয়ে যেতেন। তবে ইদানিং সময় তারা তাদের নিজেদের তেল ছাড়াও পার্শ্ববর্তী অন্যান্য পেট্রোল পাম্পেরও তেল পৌঁছে দিচ্ছেন। আর সেই কারণেই মার খাচ্ছে এখানে থাকা অন্যান্য অয়েল ট্যাঙ্কারগুলো। তাই মৌরিগ্রাম আই.ও.সি কেন্দ্রের অয়েল ট্যাঙ্কার মালিকরা এবার বিক্ষোভ শুরু করেছেন। যার ফলেই ব্যাহত হচ্ছে পরিষেবা।

     

    তাদের দাবি, পেট্রোল পাম্প মালিকদের নিজস্ব গাড়িতে শুধুমাত্র তারা যেন নিজেদের পাম্পের তেলই নিয়ে যান। পার্শ্ববর্তী অন্যান্য পাম্পে তারা যেন পরিষেবা প্রদান না করেন। ট্যাঙ্কার চালক ও খালাসিদের তরফে বাবলু দাস বলেন, যেভাবে আমাদের পেটে লাথি মারার চক্রান্ত করা হচ্ছে তা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। ১৮০টা গাড়ি টেন্ডারে দেওয়া আছে। প্রতিটির ২-৩টে ড্রাইভার খালাসি আছে। প্রতিদিনই গাড়িতে লোড পাওয়া যাচ্ছে না। তার মধ্যে ১৪-১৫টা ডিলারের গাড়ি নিজস্ব পাম্পের তেল তোলে।

    Arpita Mukherjee “সামাজিক সম্মান নষ্ট করা হচ্ছে” , বিচারকের সামনে কাতর আর্তি অর্পিতার।

    এর সঙ্গে আরও ৫-৬টা পাম্পের তেল ওরা নিয়ে যায়। আমাদের দাবি, যে পাম্পের সেই পাম্প থেকেই যেন তেল তোলে। এরা পাম্পের পাশাপশি গড়ির ব্যবসাও করে। এরকম ব্যাপার আগে ছিল না। এখন হয়েছে। এই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোন সহযোগিতা করছে না। কিছু ট্রান্সপোর্টার নিজের স্বার্থের জন্য গাড়ি চালাচ্ছে। যতদিন না সমস্যা মিটবে ততদিন গাড়ি চালাব না। মৌরিগ্রাম ট্যাঙ্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রতন সাঁতরা বলেন, কিছু গাড়ি নিজস্ব পাম্পের ছাড়াও অন্য পাম্পের তেল তোলে। তাতেই আমাদের আপত্তি।

     

    এই অবস্থা প্রায় ৬ মাস ধরে চলছে। এই অবস্থা বন্ধ ছিল। আবার ফেব্রুয়ারী থেকে পুলিশ দিয়ে গাড়ি ঢোকাচ্ছে। আমরা ১৮০টা গাড়ি বন্ধ রেখেছি। যারা গাড়ি লোড করছে তাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। জবরদস্তি করে আমাদের গাড়ি লোড করা যাবে না। যে গাড়ি চলছে তাদের কাউকেই আটকানো হচ্ছে না। অন্য পাম্পের কোনও তেল তোলা যাবে না তা কোম্পানি কর্তৃপক্ষ মেনে নিয়েছে। ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে সুষ্ঠ আলোচনা হলে গাড়ি চালু করে দেওয়া হবে। এদিকে, ইউনিয়নের ভাইস প্রেসিডেন্ট সমরেন্দু দাস বলেন, এটা ট্রান্সপোর্টার এবং ম্যানেজমেন্টের সমস্যা। এর মধ্যে ইউনিয়নের কোনও সমস্যা নেই।

    RELATED ARTICLES

    LEAVE A REPLY

    Please enter your comment!
    Please enter your name here

    - Advertisment -

    Most Popular

    Recent Comments