Today Kolkata :- আমতা হত্যাকাণ্ডে এবার গ্রেফতার করা হলো সাসপেন্ড হওয়া আমতা থানার দুই পুলিশ কর্মীকে। আনিশ হত্যার সঙ্গে এদের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। আজকে নবান্ন থেকে তাদের গ্রেফতারের খবর জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ সূত্রে খবর কনস্টেবল প্রীতম ভট্টাচার্য (২৫৬) , হোম গার্ড কাশীনাথ বেরা (২১৭০) গ্রেপ্তার আমতার ঘটনায়। এদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। দুদিন আগে গভীর রাতে বিশেষ তদন্তকারী দল আমতা থানায় এসে পৌঁছায়। এডিজি সিআইডি অপারেশন মিরাজ খালিদ, ধ্রুবজ্যোতি দে ব্যারাকপুর কমিশনারেট জয়েন্ট সিপি, হাওড়া গ্রামীনের জেলা পুলিশ সুপার সৌম্য রায় ঘটনাস্থলে আসেন। এরপর দীর্ঘক্ষণ তারা আমতা থানাতে বসে থানার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে। তাদের থেকে ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত তদন্তের খুঁটিনাটি পরীক্ষা করে। তারা থানার কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বলেও থানা সূত্রের খবর। এই তিনজনের কথাবার্তায় বেশ কিছু অসঙ্গতি পায় বিশেষ তদন্তকারী আধিকারিকরা। কনস্টেবল প্রীতম ভট্টাচার্য (২৫৬) হোম গার্ড কাশীনাথ বেরা (২১৭০) গ্রেফতার হলেন আজকে।
যদিও ঘটনার দিন কোনো সিভিক পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় নি বলেই সূত্রের খবর। তবে এই তিন আধিকারিক ছাড়া আরেকজন সেদিন রাত্রে ঘটনাস্থলে গেছিলেন। সেই বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠিত হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। আপাতত এই তিনজনকে সাসপেন্ড হওয়া আধিকারিকের মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হলেও ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য ধীর গতিতে এগোতে চাইছে বিশেষ তদন্তকারী আধিকারিকরা। প্রয়োজনে ফের তারা আমতায় আসতে পারে বলে আমতা থানা সূত্রে জানা যাচ্ছে।
আনিশ হত্যায় জড়িত থাকার সন্দেহে আমতা থানার তিন সাসপেন্ড হওয়া অধিকারিকদের মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ।
সিট গঠিত হওয়ার পরই সিটের সদস্যরা থানায় এসে কথা বলে এই তিনজনকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে। প্রসঙ্গত আনিশ মৃত্যুর পরেই আমতা থানার চারজন পুলিশ কর্মী এসে তার ছেলেকে খুন করে বলে অভিযোগ করেছিলেন আনিশের বাবা সালেম খান। পরিবারের তরফ থেকে বারংবার তদন্ত না করার অভিযোগ আনা হয়েছিল আমতা থানার বিরুদ্ধে।