প্রতিরক্ষা গবেষণায় ফের বড়সড় সাফল্য পেল ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভালপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা DRDO। নতুন প্রযুক্তির ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের (BrahMos supersonic cruise missile) সফল পরীক্ষামূলক উত্ক্ষেপণ হল বৃহস্পতিবার।
ওড়িশা উপকূলে নয়া প্রযুক্তির ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উত্ক্ষেপণ
Read more-শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলির ক্ষেত্রে এল নয়া নিয়ম, নির্দেশিকা জারি রাজ্য স্কুলশিক্ষা দপ্তরের
ওড়িশার (Odisha) বালাসোর উপকূলে ক্ষেপণাস্ত্রটির সফল উত্ক্ষেপণ হয় এদিন।
সূত্রের খবর, সম্পূর্ণ নতুন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে তৈরি করা হয়েছে এই ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটিকে। ভারতের ডিআরডিও (DRDO) ও রাশিয়ার এনপিওএম (NPOM)-এর যৌথ প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। প্রয়োজনে স্থল, জল ও আকাশ তিন স্থান থেকেই ক্ষেপনাস্ত্রটিকে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
ডিআরডিও সূত্রে জানা গিয়েছে, সমুদ্রে বা আকাশে শত্রপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্রের আক্রমণ রুখে দিতেও সক্ষম ব্রহ্মসের এই সুপারসনিক ক্রুজ মিশাইল। ফলে যুদ্ধক্ষেত্রে ভারতীয় নৌবাহিনী ও স্থলবাহিনী উভয়েই কাজে লাগাতে পারবে মিশাইলটিকে।
চলতি মাসেই আরও একটি ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায় ভারতীয় নৌবাহিনী। যেটি সমুদ্রযুদ্ধে বিশেষ ভাবে কার্যকরী। শত্রপক্ষের সাবমেরিন বা জাহাজে নির্ভুল নিশানায় আক্রমণ করতে পারদর্শী ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি। টুইট করে ডিআরডিও জানিয়েছিল, ‘নৌবাহিনীর জাহাজ আইআনএস বিশাখাপত্তনাম (INS Visakhapatnam) থেকে সমুদ্রযুদ্ধে উপযোগী ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল উত্ক্ষেপন হয়েছে।’
ব্রহ্মসকে বিশ্বের অন্যতম সেরা সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র মনে করা হয়। যার নামকরণ করা হয়েছে ভারতের ব্রহ্মপুত্র এবং রাশিয়ার মস্কভা নদীর নামে। শব্দের তুলনায় প্রায় ৩ গুণ দ্রুত গতিতে ছুটে যাওয়া এই ক্ষেপণাস্ত্রটি শুধুমাত্র বিশ্বের দ্রুততম সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলই নয়, এর উচ্চ গতির কারণে এটিকে ব়্যাডারও ধরতে অক্ষম।