Today Kolkata:- তিব্বতি লোককথা অনুযায়ী, মিলারেপা নামে এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসী একবার কৈলাশ পর্বতের শীর্ষের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে তিনি সবাইকে সাবধান করে দেন যে ঈশ্বরের বাসস্থানে না যাওয়াই ভালো। ঈশ্বরের বাসস্থানে গিয়ে ঈশ্বরকে বিরক্ত করা ঠিক নয় বলে জানিয়েছিলেন তিনি। আরও অদ্ভুত বিষয় হলো, বিজ্ঞানীরা বলছেন কৈলাসে নাকি কোনো চুম্বকীয় ক্ষেত্র নেই। যে কারণে কোনো কোনো কম্পাস কাজ করে না। ১৯৯৯ সালে রাশিয়ার এক চক্ষু বিশেষজ্ঞ এর্নেস্ট মুলদাশিফ ঠিক করেন কৈলাস পর্বতের রহস্য উন্মোচন করবেন। তার পর্বতারোহী দলে ভূ-বিজ্ঞান, ভৌতিক বিশেষজ্ঞ আর ইতিহাসবিদরা ছিলেন। তারা অনেক তিব্বতি লামাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কৈলাসের আশেপাশে অনেক মাস ধরে তারা সময় কাটান। এরপর তিনি একটি বই লেখেন ‘হোয়ার ডু উই কাম ফ্রম’ বা ‘আমরা যেখান থেকে এসেছি’।
বইয়ে তিনি কৈলাস পর্বতে সময় কাটানোর অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন। তদন্ত করার পর এর্নেস্ট মুলদাশিফ বলেন, বাস্তবে কৈলাস পর্বতে একটি মানব নির্মিত পিরামিড আছে। আর এ পিরামিডটি নির্মাণ করা হয় প্রাচীনকালে। তিনি দাবি করেন, একটি বড় পিরামিডকে অনেক ছোট ছোট পিরামিড ঘিরে আছে আর সেখানে ঘটে অলৌকিক ঘটনা। কৈলাস থেকে ফেরার পর এর্নেস্ট মুলদাশিফ লেখেন, রাতের নিস্তব্ধতায় পাহাড়ের ভেতর থেকে ফিসফিস করে কথা বলার শব্দ আসে। এক রাতে আমি আর আমার দুই সহযোগী পাথর পড়ার আওয়াজ পেয়েছি। আর এ আওয়াজ কৈলাস পর্বতের পেটের ভেতর থেকে আসছিল। আমরা ভেবেছিলাম, পিরামিডের মধ্যে হয়তো কোনো শক্তি আছে, যারা ঠিক মানুষের মতোই কথা বলছে। তিনি আরও লিখেছিলেন, তিব্বতি গ্রন্থে লেখা আছে যে শাম্বালা একটি আধ্যাত্মিক দেশ।
কৈলাস পর্বত আর, তিব্বতি লোককথা।
এটা কৈলাস পর্বতের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ দিয়ে এ বিষয়ে চর্চা করা আমার পক্ষে কঠিন। তবে আমি পরিষ্কারভাবে বলতে পারি, কৈলাস পর্বতের এলাকা পৃথিবীর বাইরের জগতের সঙ্গে জড়িত।কৈলাস পর্বত আর আশেপাশের পরিবেশের ওপর গবেষণা করা বৈজ্ঞানিক নিকোলাই রোমনভ আর তার দল তিব্বতের মন্দিরের ধর্মগুরুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি বলেছেন, কৈলাস পর্বতের চারদিকে একটি অলৌকিক শক্তি বয়ে চলেছে।