কেন্দ্রের তরফে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোমবার সকাল দশটায় নর্থ ব্লকে গিয়ে রিপোর্টি করতে বলা হয়েছিল। তবে সেই নির্দেশ অনুযায়ী দিল্লি গেলেন না আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে এবার আলাপনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র। এর আগেও এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে, দিল্লি না যাওয়ার কারণে শাস্তির মুখে পড়তে পারেন আলাপন। তবে অনেকেই মনে করেছিলেন, যেহেতু রাজ্য সরকার তাঁকে ছাড়ছে না সেক্ষেত্রে কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না।
শুক্রবার রাজ্যকে এক চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়। তাতে নির্দেশ হওয়া হয়, সোমবার সকাল ১০টায় আলাপনকে দিল্লিতে নর্থ ব্লকের কর্মী ও প্রশিক্ষণ বিভাগে হাজিরা দিতে হবে। এই নির্দেশকে ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক। উল্লেখ্য, নিয়ম অনুসারে কেন্দ্রীয় সরকার ডেপুটেশনে ডাকলেও রাজ্য যদি অফিসারকে না ছাড়ে, তাহলে তিনি দিল্লি গিয়ে চাকরিতে যোগ দিতে পারেন না।
এদিকে মুখ্যসচিবকে যে ছাড়া হচ্ছে না, তা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পাঁচ পাতার চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আলাপনের বদলির সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী। মূলত, পাঁচ পাতার এই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন কেন এই মুহূর্তে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের দরকার। মমতার দাবি, সেক্ষেত্রে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলির নির্দেশ প্রত্যাহার করা হোক।
এদিকে সোমবার আলাপন নিজে কী করবেন, সেদিকেই চোখ ছিল সব মহলের। এদিন স্বাভাবিক দিনের মতোই নবান্নে পৌঁছে যান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে রবিবার ছুটির দিনে, স্ত্রী সোনালি চক্রবর্তীকে নিয়ে নবান্নে তিন ঘণ্টা কাটিয়ে এসেছিলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এদিন মু্খ্যমন্ত্রীর ডাকা ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্প নিয়ে আলোচনায় থাকবেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্য়ায়।