Today Kolkata:- প্রয়াত হয়েছেন মা ,তা বলে কর্তব্যে গাফিলতি নয় ,পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি ঠিকই করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। মা-কে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর শেষকৃত্য পালন। চোখে জল নিয়ে মাকে বিদায় জানানো। তারপর মাত্র ঘণ্টা খানেকের বিরতি। ব্যক্তিগত শোক সঙ্গে নিয়ে এদিনও দায়িত্বে অবিচল থাকতে দেখা গেল নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi)।
এদিন ভোর রাতে প্রয়াত হন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister) নরেন্দ্র মোদীর (Norendra Modi) মা হীরাবেন মোদী। মায়ের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে শুক্রবার নিজেই ট্যুইট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। তারপরেই ছুটে গিয়েছিলেন গুজরাতে (Gujrat)। সকালে আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে পৌঁছনোর পরেই মোদী যান ছোট ভাই পঙ্কজের বাড়ি। সেখানেই তাঁর মায়ের মরদেহ শায়িত ছিল।
মা হীরাবেন মোদীর পা-এ ফুলের শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়ে নতমস্তকে প্রণাম করেন। বড় ভাই সোমাভাই এবং ছোট পঙ্কজ তখন মোদির পাশে দাঁড়িয়ে। ছিলেন মোদির পুরনো কয়েকজন শুভানুধ্যায়ীকে ,ছিলেন গুজরাত বিজেপির (BJP) কিছু নেতা , কয়েকজন মন্ত্রী। ছিলেন একদা বিপক্ষ শঙ্কর সিং বাঘেলা।
প্রয়াত মা, ব্যক্তিগত শোক ভুলে কর্তব্যে অবিচল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অরিজিতের অনুষ্ঠানের লিখিত অনুমতি ছিল না , আয়োজকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ফিরহাদের।
ত্রিপুরায় ডিএ নিয়ে পোস্ট, ‘পশ্চিমবঙ্গে সরকারি কর্মীদের অবস্থা চাতক পাখির মতো’, দাবি শুভেন্দুর৷
কোনও জমায়েত নয়, মা-কে শান্তিতেই বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন মোদি। তাই এদিন শ্মশানে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ভিড় দেখা যায়নি। অন্য ভাইদের সঙ্গে মায়ের মরদেহ কাঁধে তুলে নেন। পায়ে পায়ে হেঁটে এগিয়ে যান শ্মশানের দিকে।
গত বুধবারই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মা হীরাবেন। মায়ের অসুস্থতার খবর পাওয়া মাত্রই দিল্লি থেকে গুজরাতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। হাসপাতালে গিয়ে মায়ের শরীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবরও নেন। সেই সময় চিকিৎসকেরা তাঁকে জানিয়েছিলেন, হীরাবেনের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। সেই দিনই দিল্লি (Delhi) ফিরে যেতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে।
মোদি এদিন ট্যুইটে লেখেন , ‘মায়ের মৃত্যুর সঙ্গে যেন ১০০ বছরের দীর্ঘ সফর শেষ হয়ে গেল। মায়ের মধ্যে আমি তিনটে বড় রকমের প্রত্যক্ষ করেছিলাম। সন্ন্যাসী, আত্মত্যাগী এবং নীতির প্রতি নিয়োজিত প্রাণ একটা মানুষ।’ মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেই ১০টা ১০ মিনিট নাগাদ মুক্তিধাম থেকে রওনা দেন তিনি। পৌঁছন গুজরাতের (Gujrat) রাজভবনে। সেখানেই ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে মোদি সরকারি কর্মসূচি পালন করেন।