Today Kolkata:- অন্তঃসত্ত্বা নীনাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন সতীশ? বন্ধুত্ব অনেক রকমের হয়। কিন্তু সতীশ কৌশিকের মতো বন্ধু জীবনে বোধহয় একবারই আসে! মাত্র ৬৬-তেই চোখ বোজার পরে এমনটাই মনে করছেন তাঁর দীর্ঘ সময়ের বান্ধবী নীনা গুপ্তা। নীতা তাঁর আত্মজীবনী ‘সচ কহুঁ তো’তে তাঁর জীবনের অনেক অজানা দিক উন্মোচন করেছেন। তেমনই একটি দিক তাঁর সঙ্গে সতীশ কৌশিকের বন্ধুত্ব। ১৯৭৫ সাল থেকে তাঁরা একে অপরের ভাল বন্ধু।
সেই সুবাদে নীনা যখন অবিবাহিত অবস্থায় গর্ভবতী হয়ে পড়েন, সতীশ তাঁকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছিলেন। ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে বন্ধুত্ব, প্রেম। তার থেকে অন্তঃসত্তা নীনা। অভিনেত্রী তাঁর গর্ভস্থ সন্তানকে পৃথিবীতে আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সমাজ যে কুমারী মাকে মান্যতা দেয় না! সেই সময় তাঁকে বন্ধুত্বের আগল দিয়ে আগলেছিলেন সতীশ। সাফ বলেছিলেন, ‘‘সন্তান যদি কালো হয়, বলে দিবি আমি ওর বাবা! আর ওর জন্মের আগেই আমরা বিয়ে করে নেব! তাহলেই ঝামেলা শেষ। তোর সন্তানকে আর কেউ কিছু বলবে না।’’ এতটাই উদার মনের মানুষ ছিলেন সতীশ।
Birbhum Zilla উড়ছে গেরুয়া আবির , কেষ্টর দিল্লি যাত্রা উদযাপনে বীরভূম জেলা বিজেপির অভিনব উদ্যোগ।
তিনি জানিয়েছিলেন, নীনাকে একা রাখতে তাঁর ভয় করত। মনে হত, যদি কিছু ঘটিয়ে ফেলেন! সেই জন্য সারাক্ষণ তাঁকে ভরসা জোগাতেন। সতীশের মনে হয়েছিল, বন্ধুরা এই জন্যই থাকে। সমস্ত খারাপ থেকে তাঁর প্রিয় বন্ধুকে আগলে রাখবে বলেই।
তাঁর প্রয়াণের পরে সে কথা বারবার স্মরণ করেছেন নীনা। প্রবীণ অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘সেই সময় আমার চারিদিক থেকে চরম বিশৃঙ্খলা চলছে। সতীশ তাই আমায় কোথাও একা ছাড়ত না। সব সময় আগলে বেড়াত। আর একটা কথাই বলত, ‘তুই এত চিন্তা করছিস কেন? আমি তো আছি!’’ সে কথা পরে এক সাক্ষাৎকারে প্রয়াত অভিনেতাও স্বীকার করেছেন। অন্তঃসত্ত্বা