আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বাড়িতে গিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলো তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে মথুরাপুরের পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের তাজপুর গ্রামে। ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য বাপ্পাদিত্য হালদারের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মথুরাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিত মহিলা।
এই ঘটনায পুলিশ জানা যায়, ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর ওই সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলার অজু করা হয়। নির্যাতিত গৃহবধূর সূত্রে জানা যায় বুধবার সকালে নির্যাতিত মহিলার স্বামীকে আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ফোন করে তাজপুর গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য বাপ্পাদিত্য হালদার। ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র চান পঞ্চায়েত সদস্য।
কলকাতা এইমস ও টাটা রিসার্চ সেন্টারের দুই কর্তাকে ডিলিট দিল অ্যামিটি
পরে দুপুরে নির্যাতিত মহিলার বাড়িতে যান অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য। সেই সময় নির্যাতিত মহিলার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না আর সেই সুযোগে মহিলাকে জোর করে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এর পরেই নির্যাতিত মহিলা তার উপর হওয়া অত্যাচারের কথা স্বামীকে জানালে বৃহস্পতিবার মথুরাপুর থানা অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অন্যদিকে অভিযোগের পর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মথুরাপুর থানার পুলিশ।
অবশ্যই ঘটনায় মথরাপুর এক নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মানবেন্দ্র মহাশয় বলেন ঘটনার সত্যতা যাচাই করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত প্রমাণ হলে দলের সমস্ত পথ থেকে বরখাস্ত করা হবে পাশাপাশি পঞ্চায়েত সদস্য থেকেও বরখাস্ত করা হবে আমরা অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করি না। অন্যায়কে প্রশ্রয় দিই না সে দলের যেই হোক না কেন। ইতিমধ্যে মথরাপুর থানা তে অভিযুক্ত গৃহবধূ লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর তদন্ত শুরু করে পুলিশ।।